কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

|

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) গত রাত দেড়টায় কুমিল্লার চাঁনপুর রত্নাবতী গোমতি বেড়িবাঁধে এই ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, কয়েকজন অস্ত্রধারী গোমতী বেড়িবাঁধে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। এসময় উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে। গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন: কাউন্সিলর হত্যা: জানাজা ছাড়াই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের দাফন

শাহ আলম কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি। সে সুজানগর বউ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে। এর আগে এই মামলার আসামি সাব্বির ও সাজন ও পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে নিহত হয়।

গত ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এসময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply