বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়ায় দিনমজুর শমসের আলীর হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই। একসাথে শ্রমিকের কাজ করা সহকর্মী ঠাট্টাচ্ছলে সজোরে গোপনাঙ্গে লাথি দেয়ায় শমসেরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। গত জুনে করতোয়া নদীর তীর থেকে শমসেরের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু ওই হত্যারহস্য এতোদিন অজানাই ছিল।
অবশেষে ৫ মাস পর বুধবার (১ ডিসেম্বর) পিবিআই বগুড়া কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন জানান, ২৯ জুন বগুড়ার মম ইন পার্কের পেছন করতোয়া নদীর কিনার থেকে গলায় গামছা পেঁচানো শমসেরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পিবিআই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত করে নিশ্চিত হয় যে, সহকর্মীর হাতেই খুন হয়েছেন শমসের।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামি মোস্তফা এবং ভিকটিম শমসেরের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়। তারা বিভিন্ন মৌসুমে বগুড়ায় এসে ধানকাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত জুন মাসে তারা একই এলাকার ৭/৮ জন দিনমজুর বগুড়ার মাটিডালী এলাকার একটি স মিলে অবস্থান করে আশপাশের এলাকায় ধানকাটার কাজ শুরু করেন। ২৮ জুন মোস্তফা ও শমসের শাখারিয়া ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামে ধানকাটার কাজ শেষে সন্ধ্যার দিকে মম ইন পার্কের পেছনে করতোয়া নদীর ধারে বেড়াতে যান। এসময় হাসি-ঠাট্টার এক পর্যায়ে মোস্তফা সজোরে ডান পা দিয়ে শমসেরের গোপনাঙ্গে লাথি মারেন। এই আঘাতে শমসের মাটিতে পড়ে যান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার রাতে নীলফামারী থেকে আটকের পর মোস্তফা পিবিআইয়ের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
Leave a reply