১৯৯০ সালে নির্মিত সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের একটি সেতুর টোল আদায় করা হচ্ছে এখনও। সেতুটি নির্মাণে ৭ কোটি টাকা ব্যয় হলেও এখন পর্যন্ত টোলে ওঠানো হয়েছে ৪০ কোটি ১৩ লাখেরও বেশি। চলতি বছরও টোলের ইজারা দেয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিক ও নিয়মিত চলাচলকারীরা।
সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ জেলায় সড়ক পথে যাতায়াতে লামাকাজি এলাকার এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এম এ খান সেতু নামে নামকরণ করা হলেও এলাকার নামে লামাকাজী সেতু নামেই পরিচিত এটি। স্থানীয়দের মতে, এরশাদ সরকারের আমলে এমএ খান সেতুতে বসানো হয় টোল প্লাজা।
যানবাহনের প্রকারভেদে নির্ধারণ করা টোলের হার সে সময়ে ছিল ৩ থেকে ১০ টাকা। দফায় দফায় ইজারা দিয়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা এই সেতু থেকে ৪০ কোটি ১৩ লাখ টাকা টোল আদায় করেছে সড়ক বিভাগ। এত বছরেও টোল আদায় বন্ধ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এ পথে চলাচলকারীরা।
টোল আদায়কারীদের সাথে যানবাহন চালকদের কথা কাটাকাটির ঘটনাও কম নয়। টোল আদায় করতে খারাপ আচরণও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবহণ শ্রমিকদের। তবে টোল আদায়ে হয়রানির সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইজারা নেওয়া কর্তৃপক্ষ।
সেতুটি ইজারা দিয়ে থাকে সিলেট সড়ক বিভাগ। তাদের মতে, টোল আদায় বন্ধ করার এখতিয়ার মন্ত্রণালয়ের। তাই নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, বিষয়টিতে কিছুই করার নেই তার।
গত ৩০ বছরে এই সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর অধিকাংশই এখন চলাচলের অযোগ্য বা বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে। যুগের আধুনিকায়নে সড়কে নেমেছে আধুনিক যানবাহনও। এর সাথে পাল্লা দিয়ে গত মাসে নতুন করে আবারও ১৮ কোটি টাকারও বেশি দরে দেয়া হয়েছে ইজারা। টোল আদায়ে বাড়ানো হয়েছে কড়াকড়ি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুনামগঞ্জবাসী।
এসজেড/
Leave a reply