ব্রণ এমন একটি সমস্যা, যার সাথে আত্মবিশ্বাসের যোগসূত্র সরাসরি। মুখে ব্রণ দেখা দিলে অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে ব্যক্তিজীবনে। তবে পরিচিতদের কাছ থেকে এর সমাধানও মেলে ঢের। চন্দনবাটা থেকে শুরু করে ভাতের মাড় পর্যন্ত অনেকেই ব্রণ সমস্যা দূর করার মোক্ষম সব উপায় বাতলে দেন, বাস্তবে যা আদতে কোনো কাজে লাগে না।
এবারে চলুন আনন্দবাজারে প্রকাশিত ব্রণ নিয়ে প্রচলিত এমনই কিছু ভুল ধারণা জেনে নিই—
১) মুখের ধুলোবালি থাকলে ব্রণ হয়
মুখে ধুলো থাকলেই যে ব্রণ হবে এমন কোনও মানে নেই। তবে মুখে কোনও ব্রণ থাকলে, তাতে ধুলো ঢুকে ব্রণ আরও বড় হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়ম করে দিনে দু’বার মুখ ধোয়া জরুরি। কিন্তু বেশিবার মুখে সাবান বা ফেসওয়াশ দিলে ত্বক আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যেতে পারে।
২) পেট পরিষ্কার না হলে ব্রণ হয়
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাঁদের যে ব্রণ হবেই, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ হয়, তা থেকে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। তাতে ব্রণ হতে পারে।
৩) অতিরিক্ত মানসিক চাপে ব্রণ হতে পারে
মানসিক চাপে ব্রণের প্রবণতা বাড়তে পারে। কিন্তু যাঁদের সাধারণত ব্রণ হয় না, তাঁদের কোনও কারণে মানসিক চাপ স়ৃষ্টি হলেই যে ব্রণ হওয়া শুরু হবে, তেমন নয়।
৪) ব্রণ চাইলেই ফাটিয়ে দেওয়া যায়
অনেকেই মনে করেন, ব্রণ ফাটালে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ব্রণ ফাটালে অনেক সময়ে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া ব্রণ ফাটালে দাগ হয়ে যাবেই। যা সহজে দূর হয় না।
৫) ব্রণ একটা বয়সের পর এমনই সেরে যাবে
অনেকেই মনে করেন বয়ঃসন্ধির সময়ে ব্রণ হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিই ব্রণ ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু ব্রণর সমস্যা যদি খুব বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসার বা বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।
Leave a reply