বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি

|

চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে লক্ষ্যের তুলনায় রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার টাকা। তবে আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বছর শেষে ঘাটতির অংক আরও বাড়বে।

সরকারি আয়ের প্রধান উৎসই রাজস্ব আহরণ। দেশের অভ্যন্তর থেকে সরকার যে আয় করে, এর সিংহভাগের যোগান দেয় এনবিআর।

করোনা সংক্রমণে উৎপাদনে তৈরি হয়েছে স্থবিরতা। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজস্ব আদায়ে গতি কম। বাজেটে যে রাজস্ব আদায় লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জন হওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। চলতি অর্থবছরের চার মাসে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত লক্ষ্যের তুলনায় অর্জন প্রায় ৮৯ ভাগ।

তবে করোনার মধ্যেও গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি। হিসেব বলছে, প্রায় ১৫ ভাগ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক্ষেত্রে আদায়ের দিক দিয়ে শীর্ষে আছে আয়কর। তারপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও কাস্টমস।

ঘাটতি কমিয়ে আনতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এনবিআর। তবে, সংস্কার কার্যক্রমের গতি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির সমন্বয়হীনতাই পুঁজিবাজার অস্থিরতার কারণ

চলতি অর্থবছরের জন্য এনবিআরের মোট রাজস্ব লক্ষ্য ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply