ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীদের (ভিডিও)

|

ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীদের।

সদ্য পদত্যাগকৃত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ডা. মুরাদ হাসানের কিছু বক্তব্যের জের ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরেই ক্ষোভ প্রকাশের পর আজ শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগকারী জুলিয়াস সিজার তালুকদার (২৫) অভিযোগে উল্লেখ করেন, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ফেসবুক লাইভে বিকৃতি যৌনাচার ও বিদ্বেষমূলক একটি বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্রাব করার সময়ও আমার নাই।’ এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, দেশের সর্বপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে বলেন ‘তারা রাতে নিজের হলে অবস্থান না করে বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলে গিয়ে রাত্রি যাপন করে।’ উক্ত দুটো মন্তব্যের মাধ্যমে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং বিদ্যাপীঠসমূহের প্রতি মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘৃণার রাজনীতি করার অপপ্রয়াস দেখিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতা থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী: ‘দুঃসময়ে পল্টি দেন ডা. মুরাদ’

অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে জুলিয়াস সিজার তালুকদার যমুনা টিভিকে বলেন, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান একটি অনলাইন টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই হলের মেয়েরা হলে অবস্থান না করে বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলে গিয়ে রাত্রি যাপন করে। তিনি এরকম একটি তথ্য উপস্থাপন করে, এরকম গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মানুষের কাছে ছোট করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে কেবল আমাদের বিদ্যাপীঠ হিসেবে নয়, আমাদের মাতৃসম প্রতিষ্ঠান হিসেবে জানি। আমাদের মায়ের প্রতি যদি কোনো আঘাত আসে, কোনো অপপ্রচার আসে আমরা তা প্রতিহত করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত কলঙ্কজনক বাক্যগুলোর বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়িয়েছি।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে

জুলিয়াস সিজার তালুকদার আরও বলেন, তাদের অভিযোগ থানায় গৃহীত হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে বলা হয়েছিল, এর সবই তারা পেশ করেছেন। এবার তদন্তের জন্য অভিযোগটি ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যাবে। তদন্তে যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় তবে অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হবে।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে ডা. মুরাদকে ডাকা হবে: ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply