পেস কিংবা স্পিন, কোনো বোলারের সামনেই দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। কেন একের পর এক ব্যর্থতা? বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন স্বীকার করছেন সমস্যাটা ঘরোয়া ক্রিকেটে। পরিণত ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে না বলেই পাকিস্তান নতুনদের নিয়ে পারলেও ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ, এমনটাই দাবি তার। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেট ঢেলে সাজানোর দরকার বলছেন খোদ বিসিবির এই পরিচালক।
বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, শাহিন শাহ আফ্রিদির পেস হয়তো আমরা নিয়মিত খেলি না। কিন্তু এরকম স্পিন তো আমরা সবসময়ই খেলি। তাই আজ যেমনটা ব্যাটিং ভরাডুবি হয়েছে আমাদের, তেমনটা মেনে নেয়া আমার জন্য বেশ কঠিন।
কোনো তদন্ত না করেও খুব সহজে সুজন দেখিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যাটা কোথায়। যে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে হচ্ছে এত কথা, সেখানে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া। সেখান থেকে আর যাই হোক পরিণত ক্রিকেটার উঠে আসা সম্ভব না বলে স্বীকার করলেন টিম ডিরেক্টর সুজন। বললেন, আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানগত অনেক বড় পার্থক্য রয়েছে। তবে জাতীয় লিগ সম্পূর্ণভাবে বিসিবি পৃষ্ঠপোষকতা করে। জেলা বা বিভাগ থেকে কোনো টাকা দেয়া হয় না। তাই জাতীয় লিগ বিসিবি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এখন সময় এসেছে বিসিবির হাতে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ার। ভালো মানের কোচ থেকে শুরু করে প্রতিটি ভেন্যু পর্যবেক্ষণেরও সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: আইসিসির মাস সেরার তালিকায় বাংলাদেশি নারী নাহিদা আক্তার
কী করতে হবে সেটা সবার জানা থাকা সত্ত্বেও বিসিবির আয়োজনে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ছবিটাও একই থাকে। লেগ স্পিনার তো দূরে থাক, পেসারও খেলানো হয় না। এ প্রসঙ্গে অসহায়ত্ব স্বীকার করে নিয়ে সুজন বলেন, আমরা একটা লেগ স্পিনারকে এখনও খেলাতে পারি না জাতীয় লিগে। সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এত বেশি বেপরোয়া যে তারা সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে চায় না। কেন আমাদের পেসার তৈরি হচ্ছে না, কেন আমাদের উইকেটগুলো থেকে পেসাররা উৎসাহিত হচ্ছে না, এসব খুঁজে বের করতে হবে।
অথচ বোর্ডে বড় দায়িত্বে আছেন তিন সাবেক অধিনায়ক। তবে কি তাদের কথার কোনো গুরুত্ব নেই? তেমনটা অবশ্য মনে করেন না সুজন। জানালেন, তাদের কথাও শোনা হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে লঙ্কান নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা; নিরাপত্তা জোরদার এলপিএলে
Leave a reply