প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলা প্যানডোরা পেপারসের দ্বিতীয় ধাপের তালিকা। এতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত আটজনের নাম পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) সোমবার গভীর রাতে এই তালিকা প্রকাশ করে। এবারের তালিকায় বিশ্বের মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
সর্বশেষ তালিকাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা ব্যক্তিরা হলেন— নিহাদ কবির, সাইদুল হুদা চৌধুরী, ইসলাম মঞ্জুরুল, মোহাম্মদ ভাই, সাকিনা মিরালী, অনিতা রানী ভৌমিক, ওয়াল্টার পোলাক ও ডেনিয়েল আর্নেস্তো আইউবাত্তি।
নথিপত্রে নিহাদ কবিরের বাংলাদেশে ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে ঢাকার ইন্দিরা রোডের একটি বাড়িকে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি। এই তালিকা থাকা ইসলাম মঞ্জুরুল, সাইদুল হুদা চৌধুরী, সাকিনা মিরালী ও মোহাম্মদ ভাই গুলশানের এবং অনিতা রানী চকবাজারের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। আর ডেনিয়েল আর্নেস্তো আর্জেন্টিনার পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং ওয়াল্টার রাশিয়ার ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।
নাম প্রকাশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মঞ্জুরুল ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রি কেমিক্যাল কোম্পানি, সাইদুল বেবেন ইন্টারন্যাশনাল ইনক, অনিতা আনটেরিস হোল্ডিংস লিমিটেড, সাকিনা মুনরেকার সার্ভিসেস করপোরেশন, মোহাম্মদ ভাই ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেড, ওয়াল্টার পোলাক ফ্লিন্ট এন্টারপ্রাইজেস এসএ এবং ডেনিয়েল আর্নেস্তো কুডেল লিমিটেড নামের কোম্পানির মালিক। এই সব কোম্পানি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে নিবন্ধিত।
করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের অফশোর কোম্পানিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অর্থ ও গোপন লেনদেনের তথ্য ফাঁস করা হয়েছে প্যানডোরা পেপারসের নথিতে। এর আগে গত ৩ অক্টোবর ফাঁস করা হয় প্যানডোরা পেপারসের প্রথম ধাপের নথি।
প্যানডোরা পেপারস ফাঁসের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তির অর্থ পাচার, কর ফাঁকি ও গুপ্ত সম্পদের তথ্য সামনে এসেছে। ১১৭টি দেশের ৬ শতাধিক সাংবাদিক কয়েক মাস ধরে ১৪টি উৎস থেকে নথিগুলো সংগ্রহ করেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, প্যানডোরা পেপারসে নাম এলেই কেউ বেআইনি কাজে জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া যায় না।
প্রথম ধাপের প্যানডোরা পেপারস প্রকাশিত নথিতে নেপালের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।
Leave a reply