মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করে সরকারের সিন্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আবেদনকারীদের দাবি, ১৯৭৮ সালের বিধান অনুসারে কেবল স্কুলেই দিনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে, মাদ্রাসায় নয়। মাদ্রাসা শরিয়ত মোতাবেক চলে। এখানে কোনো প্রকার সঙ্গীতের প্রতিযোগিতা অনুমোদন করে না।
আদালত রিটকারী আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি দেখান পবিত্র কোরআনের কোথায় আছে জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না? পবিত্র কোরআনের কোথাও নেই যে জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না। আগে তো মাদ্রাসার সিলেবাসে অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। যুগের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রকারান্তরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করার জন্যই এ রিট করা হয়েছে।’
কুড়িগ্রামের একটি ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মিয়া ও ঢাকার কদমতলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ রিট দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply