হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত মারা গেছেন। বুধবার তামিলনাড়ুর কন্নড়ে একটি দুর্গম পাহাড়ের জঙ্গলে ভূপতিত হওয়া হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে আছেন বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতও। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ ভারতীয় সেনার এলিট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- ডিফেন্স স্টাফ কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কন্নড়ের গভীর জঙ্গলের ভেতর ভেঙে পড়ে সেনাবাহিনীর এমআই- ১৭ হেলিকপ্টারটি। সাথে সাথেই সেটিতে আগুন ধরে যায়। হেলিকপ্টারে বিপিন রাওয়াতসহ ১৪ জন যাত্রী ছিলেন।
এর আগেও একবার বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান রাওয়াত। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। সেবার প্রাণে রক্ষা পান। সে সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে থাকা বিপিন রাওয়াতসহ আরও দুই সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর জেলার রাঙাপাহাড় হেলিপ্যাড থেকে উড়াল দেয়ার পরই আচমকা হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ২০ ফুট উঁচু থেকে সোজা মাটিতে আছড়ে পড়ে কপ্টারটি। এতে অবশ্য সামান্য আঘাত লাগে তিনজনের।
এদিকে, দুর্ঘটনায় রাওয়াতের মৃত্যুর ঘটনায় যেমন শোক জানিয়েছে গোটা ভারতের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তেমনি উঠেছে নানা প্রশ্নও। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, দুর্ঘটনা হওয়ার মতো আবহাওয়া ছিল না। এর পাশাপাশি রাওয়াতকে বহনকারী এমআই- ১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটিতে সংযুক্ত ছিল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার ব্যবস্থাও রয়েছে। জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া বিপিন রাওয়াতকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে নাশকতা রয়েছে কিনা, সেটিও তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত শুরু করেছে দেশটির বিমানবাহিনী।
এদিকে, ভারতের অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনা আর কে দাস গণমাধ্যমে লিখেছেন, এমন ঘটনার পর অনেকে নাশকতার প্রশ্ন তুলবে। আমি অবশ্য সে সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ ভারতের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিমান, কপ্টার কড়া নজরদারির মধ্যে থাকে। তবুও সঠিক কারণ জানতে অপেক্ষা করতে হবে।
Leave a reply