আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলবে মেট্রোরেল। এজন্য রেললাইন, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও স্টেশনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে এই অংশে বাণিজ্যিক চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ (ডিএমটিসিএল)। এমআরটি লাইন ছয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীসহ রেল চলবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ।
সকালে অনলাইনে এক বিফ্রিংয়ে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট বসানো শেষ হয়েছে পাশাপাশি স্টেশনগুলোর অবকাঠামোও নির্মাণও শেষ। এছাড়া মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় স্বতন্ত্র পুলিশ ফোর্স গঠন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া এ পর্যন্ত ডিপোতে আসা সাত সেট ট্রেনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষামূলক চালনা চলছে বলেও জানান এমডি। তিনি বলেন, আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে ডিপোতে এসে পৌঁছাবে এক সেট ট্রেন।
দিয়াবাড়ির ডিপো থেকে ধাপে ধাপে ট্র্যাকে উঠেছে মেট্রোর একেকটি ট্রেন সেট। শুরুটা হয়েছিল ডিপো থেকে স্টেশন এক পর্যন্ত। এরপর স্টেশন দুই, তিন হয়ে পল্লবী। ইতোমধ্যে মিরপুর ১০ পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্রায়াল হয়ে গেছে। ট্রায়াল রানের জন্য তৈরি হয়ে গেছে কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের অবকাঠামোও।
মেট্রোরেলের প্রতিটি সেটে থাকবে চারটি যাত্রীবাহী কোচ, দুই দিকে দুটো ইঞ্জিন। ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি স্কয়ার মিটারে ৮ জনের হিসাবে দ্রুততম সময়ে প্রায় ১৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
আরও পড়ুন : বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট, নাকাল যাত্রীরা
জাপানে তৈরি স্টেইনলেস স্টিলের কোচগুলোর ভেতরে লম্বালম্বি দুই পাশে রয়েছে বসার আসন। প্রতিটি কোচে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য দুটি হুইল চেয়ার রাখারও জায়গা আছে। দাঁড়িয়ে যাওয়ার সুবিধার জন্য কোচগুলোতে আছে অনেকগুলো হাতল। কোন স্টেশনে ট্রেন থামবে, তা জানানো হবে ডিসপ্লেতে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি কোচের দুই পাশে থাকছে চারটি দরজা। তবে স্টেশনে এলে এক পাশেই তা খুলে যাবে। ট্রেন থাকবে প্ল্যাটফর্মের সমতলে, তাই সাধারণ ট্রেনের মত সিঁড়ির প্রয়োজন হবে না।
/এডব্লিউ
Leave a reply