খুলনা ব্যুরো:
খুলনায় মেয়ের সামনে গৃহবধূকে ধষর্ণের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া খুলনা নগর গোয়েন্দা শাখার এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি আজ রাতেই প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতেই মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে রির্পোট পেশ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কের সামনে সুন্দরবন হোটেলের তৃতীয় তলার ৩১৩ নম্বরের কক্ষে ওই গৃহবধূকে (২৯) ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের আগে খুলনা নগর গোয়েন্দা শাখার এসআই জাহাঙ্গীর আলম পুলিশ পরিচয়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর, মেয়ের সামনেই ধর্ষণ করা হয় মাকে। এর আগে মেয়েকেও ধর্ষণের হুমকি দেন জাহাঙ্গীর।
বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভিকটিম গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন ওসিসির সমন্বয়ক অন্জন কুমার চত্রবর্তী ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই আবদুল হান্নান মোল্লা জানান যে তারা এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া এসআই জাহাঙ্গীরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন না। আর যেহেতু গৃহবধূ নিজেই মামলার বাদি তাই আদালতে তার জবানবন্দিরও প্রয়োজন নেই।
এদিকে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে নগরীর খালিশপুর জোনের সহকারী কমিশনারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে রির্পোট দিতে বলা হয়েছিল। আজ রাতেই সেই রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা জানান তারা।
প্রাথমিক তদন্তে এসআই জাহাঙ্গীর যে ধর্ষণ করেছেন তার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান নগর গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি কমিশনার বিএম নুরুজ্জামান।
এর আগে, ডাক্তার দেখানোর জন্য মেয়ে ও ভাগ্নেকে নিয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বাগেরহাটের মোংলা থেকে খুলনায় এসে হোটেল সুন্দরবনে ওঠেন ওই গৃহবধূ। গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হোটেলের কর্মচারীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এসআইকে আটক করে। পরে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বুধবার সকালে খুলনা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও জোর পূর্বক ধর্ষণের অপরাধে এসআই জাহাঙ্গীরের বিরূদ্ধে মামলা করেন। তার পরপরই ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
/এসএইচ
Leave a reply