কেনিয়ায় স্ত্রীসহ ৬ জনকে হত্যা করে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা

|

কেনিয়ায় আত্মহত্যার আগে স্ত্রীসহ ৬ প্রতিবেশীকে হত্যা করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

কেনিয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যার আগে তার স্ত্রীসহ আরও ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সুত্রে জানা গেছে, অপর্যাপ্ত বেতন ও প্রশিক্ষণ স্বল্পতার জন্য বেশ দুর্নাম রয়েছে কেনিয়ায় পুলিশ বাহিনীর। সম্প্রতি পুলিশ বিভাগকে কেনিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। খবর এএফপির।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানী নাইরোবির ডাউনটাউনে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বিক্ষোভের সূত্রে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা প্রথমে তার স্ত্রীর ঘাড়ে গুলি করেন। পরে প্রতিবেশীদের দিকে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকেন। এ সময় তার হাতে ছিলো একটি একে-৪৭ রাইফেল।

ওই এলাকার পুলিশ প্রধান ফ্রান্সিস ভাহোম জানিয়েছেন, আত্মহত্যার আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে তার স্ত্রীসহ আরও ছয়জন নিহত হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন দুইজন, তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাহোম আরও বলেন, গোলাগুলির কারণ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল এবং এর আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল।

সাম্প্রতিককালে কেনিয়ায় প্রায়ই পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে তাদের স্ত্রীদের গুলি করে হত্যা করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কেনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর কেনিয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলি চালানোর ঘটনা মোটেও নতুন নয়। গত নভেম্বরেও মধ্য কেনিয়ার এক পুলিশ কর্মকর্তা তার সহকর্মীদের ওপর আকস্মিক গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে এক সহকর্মীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেন।

গত মার্চে পশ্চিম কেনিয়ায় এক আধা সামরিক কর্মকর্তা তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেন। এর আগে, ২০১০ সালের নভেম্বরে মধ্য কেনিয়ায় আত্মসমর্পণের আগে এক পুলিশ কর্মকর্তা মধ্য কেনিয়ার দুটি বারে তাণ্ডব চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছিলেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply