ঠাণ্ডায় রাস্তার বসে দু’পয়সা আয়ের জন্য জুতা পালিশ করছেন এক মধ্যবয়স্ক নারী। তার চোখে চশমা, পরনে বোরকা। অভিজাত চেহারার এই নারীকে কোনোভাবেই এই পেশার সাথে মেলানো যায় না। আসলে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। অভাবের তাড়নার বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন এই পেশা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী কাবুলের রাস্তার পাশেই জুতা পালিশ করতে দেখা যাবে সাবেক শিক্ষিকা হাদিয়া আহমাদিকে। চলতি বছরের আগস্টে তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর শিক্ষকতার চাকরি হারান হাদিয়া। এর পর পেটের দায়ে এই পেশা বেছে নিতে তিনি বাধ্য হন।
পাঁচ সন্তানের মা হাদিয়া জানান, ঘরে ক্ষুধার্ত সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে এই পেশা বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি। এক দশক ধরে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন হাদিয়া। তার স্বামীও একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে শেফ হিসেবে কাজ করতেন। তার বড় মেয়ে ছিলেন সরকারি একটি সংস্থার ক্লার্ক। মোটামুটি স্বচ্ছল জীবনযাপন করত পরিবারটি। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে সবকিছু বদলে যায়।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেয়ায় চাকরি হারান হাদিয়া। এরপর তার স্বামী ও মেয়েরও চাকরি চলে যায়। হাদিয়ার এক ছেলে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করতেন। পরিবার কেউই উপার্জনক্ষম না থাকায় টিউশন ফি দিতে না পেরে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তার ছেলে। হাদিয়া বলেন, এখন আমরা পেটে খিদে নিয়েই দিন পার করছি। আর এই মুহূর্তে আমার পরিবারের এমন কেউই নেই যারা আমাদের আর্থিক সহায়তা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের যুদ্ধবিমানকে রাশিয়ার ধাওয়া
Leave a reply