পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলমের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাবা মোজাম্মেল হক খান বাদি হয়ে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রথম হয়েও পুলিশে চাকরি হয়নি মীমের, পুলিশ বলছে ভূমিহীন
এর আগে শনিবার ঘটনার পর ভাড়ারা ইউপির নলদহ চেয়ারম্যানপাড়া পাকা রাস্তার উপর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলিসহ দু’জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারাও এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তারা হলেন, নলদহ গ্রামের দিরাজ সরদারের ছেলে নজরুল সরদার (২৪ ) ও বকুল খানের ছেলে মুন্নাফ খান (২২)।
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম নিহত হন।
এসজেড/
Leave a reply