কানাডায় ঢুকতে পারেননি, ঠাঁই মেলেনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতেও। ব্যর্থ মনোরথে দেশেই ফিরতে হলো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য মন্ত্রিত্ব হারানো ডা. মুরাদ হাসানকে। রোববার বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এর আগে, জানা গিয়েছিল রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন তিনি। বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে মুরাদের নিকট আত্মীয়ের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন করা হয়েছিল।
শনিবার সকালে জানা যায়, মুরাদ হাসান কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ঢুকতে দেয়নি। শুক্রবার দুপুর দেড়টায় মুরাদ টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাকে জানানো হয়, সে দেশে তার প্রবেশের ব্যাপারে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছেন। তারপর তাকে দুবাইগামী একটি প্লেনে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু ভিসা না থাকায় তিনি আরব আমিরাতে ঢুকতে পারেননি। ফিরে আসতে হলো বাংলাদেশে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর মধ্যরাতে কানাডার উদ্দেশে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দেশত্যাগ করেন মুরাদ হাসান।
উল্লেখ্য, মুরাদ হাসান অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রিত্ব হারান। এছাড়া ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) ডা. মুরাদ হাসানকে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ডা. মুরাদকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।
এরই মধ্যে, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে দেশে। ফলে আগামীদিনগুলো খুব নির্বিঘ্নে পার হচ্ছে না তার এমনটা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর ফেসবুক লাইভে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে। যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ থেকে বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পরবর্তীতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।
Leave a reply