সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি বক্তব্য নিয়ে নানা পর্যায়ে শুরু হয় আলোচনা। এ নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছিল আওয়ামী লীগ, অস্বস্তি ছিল বিএনপির ভেতরেও। তবে আজ মোয়াজ্জেম হোসেন তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, একটি গুরুতর সার্জারি হওয়ায় এবং শারীরিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাওয়ায় পরিবার তাকে রাজনৈতিক জটিলতা থেকে দূরে রেখেছে। তবে দেরিতে হলেও ওই বিতর্কের ব্যাপারে তিনি জানতে পেরেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারও সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে আমি তো ভুলের ঊর্ধ্বে নই। তাই বলছি, কোনো অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভুতিতে, তাদের সকলের নিকট আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
একই সঙ্গে ওই বক্তব্য তিনি প্রত্যাহার করছেন বলেও জানান। এছাড়া ওই বিবৃতিতে আলাল বলেন, আমি প্রিয় স্বদেশভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।
প্রসঙ্গত, আলালের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মামলার খবরও পাওয়া যায়। মামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে আলালের বক্তব্যকে গুরুতর নয় দাবি করে তিনি বলেছিলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার থাকেন। সে জন্যই সরকার তাকে টার্গেট করে ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা করার জন্যই মোয়াজ্জেমকে হয়রানি করারও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
/এডব্লিউ
Leave a reply