ফরিদপুরে জয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৩০

|

ফরিদপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত একজন।

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর ৪নং ওয়ার্ডের পরাজিত সাবেক মেম্বার বাবর আলী ও সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী আলম মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মুনসুরাবাদ গ্রামের দুই মেম্বারের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েক ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র মন্ডল জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলো, লালন মাতুব্বর, ইকলাছ মাতুব্বর, ইব্রাহিম মাতুব্বর, ইয়াসিন মাতুব্বর, সোহেল কাজী, শেখ মওদুদ, সরাবউদ্দিন, বক্কার মিয়া, ফারুক মিয়া, আলম মেম্বার, ইদ্রিস মোল্লা, আল-আমিন মোল্লা, সাগর মোল্লা, রেদোয়ান মোল্লা, করিব মোল্লা, মাহবুব মোল্লা। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে পরাজিত প্রার্থী ও সাবেক মেম্বার বাবর আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বর্তমান মেম্বার আলম, জাহিদ মোল্লা, নাঈম মোল্লা, বাবলু মোল্লা, ছাইদুর মোল্লা ও তাদের সমর্থক শতাধিক লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আমার সমর্থক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শুকুর শেখের বাড়িতে হামলা চালায়। শুকুর শেখের দুই সন্তানের একজন পুলিশে ও অপরজন সচিবালয়ে চাকুরি করেন। তারা কর্মস্থলে থাকায় বাড়িতে থাকা শিশু ও মহিলাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তাদের বাড়িঘরেও তারা হামলা চালায়।

বাবর আলী আরও বলেন, এক পর্যায় গ্রামের তিনটি স্পটে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় ৮টি বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করে আলম মেম্বারের লোকজন। সংঘর্ষ গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে সুযোগসন্ধানী কিছু দুস্কৃতিকারী ফাঁকা বাড়ী ঘরে লুটপাট করে দামী মালামাল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত বর্তমান মেম্বার আলম মোল্লা সংঘর্ষে আহত হয়ে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার স্ত্রী জানায়, ভোরে কে বা কারা সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে জানিনা। আমার ঘর ভাঙচুর করতে গ্রামবাসী আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান এগিয়ে আসায় খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply