গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে জানালার গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে প্রশাসনিক, হিসাব সহকারী এবং অফিস কক্ষে চুরির ঘটনায় কোনো ফাইল কিংবা নথিপত্র খোয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত ও সরকারি সমস্ত ফাইলপত্র যাচাই করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিন সদস্যের কমিটিতে হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা আকতার মনিকে প্রধান করা হয়েছে। অপর দুই সদস্য হলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তানভির ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. মহাবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত) তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, হাসপাতালের তিনটি কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটলেও সরকারি কোনো ফাইল ও নথিপত্র খোয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কোনো নথিপত্র চুরি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন। তারপরেও প্রতিটি কক্ষের ফাইলপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া কি উদ্দেশ্যে এবং কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির কর্মকর্তারা কাজ করছে।
তবে বিষয়টি তদন্তাধীন থাকলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আব্দুর রউফ।
এর আগে, সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় হাসপাতালের তিনটি কক্ষের গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ৯টি আলমারির ফাইলপত্র এবং অফিস কক্ষগুলোতে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে। সকালে অফিস খুলতে গিয়ে তালা ভাঙাসহ কক্ষের ফাইলপত্র তছনছ দেখতে পান অফিস সহায়ক আবদুল হান্নান। পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাটি তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রধান সহকারীকে অবগত করেন।
Leave a reply