নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: বুধবার (২৮.০৩.১৮) সকাল থেকেই আলামীনের ঘর তালাবদ্ধ ছিল। বিকেল চারটার দিকে ঘরের ভেতর থেকে পঁচা দূর্গন্ধ আর কান্না শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে তালা ভেঙ্গে দেখেন ঘরে পড়ে রয়েছে গৃহবধূর নিথর দেহ। ঘরের দরজা খুলতেই ভেসে আছে দুর্গন্ধ। দেড় বছরের শিশুটি ছাড়া আশপাশে কেউ নেই। পরে খাটের উপর থেকে রীমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী রিমা আক্তারকে (২২) নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। ওই সময় থেকে শিশুটি তার মায়ের লাশের পাশেই ছিল। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী আলামিন পলাতক রয়েছে।
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মালেক মেম্বার জানান, বুধবার বিকেল ৩টায় বাড়ির প্রতিবেশীরা আমাকে দূর্গন্ধ বের হওয়ার খবর জানালে ঘটনাসস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাই। পরে বিষয়টি আমি ফতুল্লা থানা পুলিশকে জানাই। পুলিশ আসার পর আমার উপস্থিতিতেই আলামিন মিয়ার ঘরের তালা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেশী নাছিমা বেগম জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘর তালাবদ্ধ ছিল। তখন ধারণা ছিল হয়তো তারা দূরে কোথাও গেছে। কিন্তু বুধবার বিকেল থেকে ঘর হতে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল।তখন আলামিনের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অটল দাস জানান, নিহতের গলায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পলাতক স্বামী আলামীনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
যমুনা অনলাইন: আরএম
Leave a reply