প্রেমিককে বিয়ে করতে গণধর্ষণের মিথ্যা নাটক সাজালেন এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের নাগপুরে। খবর এবিপি আনন্দের।
খবরে বলা হয়, হায়দরাবাদকাণ্ড কিংবা হাথরাসের ঘটনার পর থেকেই গণধর্ষণ গোটা ভারতে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য গণধর্ষণের নাটক সাজিয়েছেন এক কিশোরী।
এখানেই থেমে থাকেননি ওই কিশোরী, অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। মঙ্গলবার নাগপুরের পুলিশ জানায়, এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাদের বিশ্বাসই হয় না। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে সত্য বলেই ধরে নেন তারা। এরপর ১ হাজারেরও বেশি অফিসার তল্লাশি শুরু করেন অভিযুক্তদের ধরতে।
পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, সকাল ১১টার দিকে থানায় এসে অভিযোগ জানান ওই কিশোরী। এরপর বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে শহরজুড়ে ২৫০টিরও বেশি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ অফিসাররা। পরে বুঝতে পারেন এই গণধর্ষণের ঘটনাটি একটি গল্প ছাড়া আর কিছু না। এরপর ওই কিশোরী জেরায় পুলিশকে বলেছেন তিনি তার প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য এই গল্পটি বানিয়েছিলেন। তবে তার সঠিক পরিকল্পনা কী ছিল তা প্রকাশ করেননি।
এর আগে ওই কিশোরী পুলিশকে বলেন, নাগপুরের চিখালি এলাকার কাছে একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাকে দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল। তিনি দাবি করেছেন, দুই ব্যক্তি একটি সাদা রঙের ভ্যানে এসেছিলেন এবং সকালে ইয়িনি গানের ক্লাসে যাওয়ার সময় ওই দুই ব্যক্তি তাকে জোর করে ভ্যানে তুলে নিয়ে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে দেয়। তার পরে তারা তাকে একটি বিচ্ছিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কালামনা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ নথিভুক্ত করেছিল। এলাকার সব পুলিশ অফিসারদের নিয়ে ৪০টি দলও গঠন করা হয়েছিল এই ঘটনার তদন্ত করতে। শহরের সিসিটিভি, ভ্যানের ফুটেজ পরীক্ষা, কিশোরীর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ সবকিছুই করা হয়। এরপর মেডিকেল পরীক্ষার জন্যও হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। পরে পুলিশ জানায় যে তরুণী গণধর্ষণের গল্পটি তৈরি করেছে।
ইউএইচ/
Leave a reply