১৪ কোটি টাকার স্ট্যাম্প জালিয়াতি; ডিসি অফিস কর্মচারী কারাগারে

|

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

মেহেরপুরে প্রায় ১৪ কোটি টাকার স্ট্যাম্প জালিয়াতির মামলায় মেহেরপুর ডিসি অফিসের সাবেক নাজির রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) মেহেরপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম (চীফ জুডিশিয়াল আদালত) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন চাইলে আদালতের বিচারক শিরিন নাহার রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ জালিয়াতি এবং মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য্য তরুণ জানান, প্রায় ১৪ কোটি টাকার স্ট্যাম্প জালিয়াতির ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা হয়। মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন আছে। আসামি পলাতক অবস্থায় থেকে উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মেহেরপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ জালিয়াতি এবং মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় ডাক ভবনের সরকারী পিকআপ গাড়িতে ভুয়া চাহিদাপত্রের প্রায় ১৪ কোটি টাকার সরকারি স্ট্যাম্প মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের গোডাউনে সংরক্ষণ করা হয়। ডিসি অফিসের নাজির স্ট্যাম্পগুলো গ্রহণ করেন।

ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে ওইদিন রাত্রে স্ট্যাম্প বহনকারী ঢাকা জিপিওর নিম্নমান সহকারী (স্ট্যাম্পস) আবুল বাশার দেওয়ান মেহেরপুর সদর থানায় প্রথমে জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করেন ডিসি অফিসের নাজির ভুয়া চাহিদাপত্র তৈরি করে এই স্ট্যাম্প আত্মসাৎ করতে ভুয়া চাহিদাপত্র দিয়ে রাষ্ট্রীয় এই স্ট্যাম্প এনেছে।

আরও পড়ুন: কোস্টগার্ডের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি শাড়িসহ আটক ২ ভারতীয়

ডিসি এই ঘটনায় নাজির রফিকুল ইসলাকে গত ৭ই মে সাময়িক সাসপেন্ড করেন। পরে স্ট্যাম্প জালিয়াতি ঘটনায় নাজির রফিকুল ইসলামকে আসামি করে আবুল বাশার দেওয়ান ২১ মে বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় করেন।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply