বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকা হিসেবেই আরও একটি বছর কাটিয়ে ফেললেন সার্বিয়ান কিংবদন্তী নোভাক জকোভিচ। সেই সঙ্গে গড়লেন নতুন কীর্তি। পিট সাম্প্রাসের রেকর্ড ভেঙে সপ্তমবার আইটিএফ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় নতুন পালক যোগ হলো জোকারের মুকুটে। মহিলাদের টেনিসে এই শিরোপা জিতে নিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর অ্যাশ বার্টি, তিনি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই নজির গড়লেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন বা আইটিএফ এ ঘোষণা দেয়। চলতি বছর নোভাক জকোভিচ বিশ্বের ১ নম্বর তারকা হিসেবেই জয়লাভ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডনে। তবে টোকিও অলিম্পিকে যেমন পদক জিততে ব্যর্থ হন, তেমনই হতাশ করেন ইউএস ওপেনেও। হাতছাড়া করেন গোল্ডেন স্ল্যাম নিশ্চিত করার সুযোগ।
অন্যদিকে, মহিলাদের টেনিসে অ্যাশ বার্টি এই খেতাব এর আগে জিতেছিলেন ২০১৯ সালে। এবার তিনি প্রথমবার উইম্বলডন জয়ের স্বাদ পান। অলিম্পিকের মিক্সড ডাবলসে জেতেন ব্রোঞ্জ।
নতুন কীর্তি গড়ার পর জকোভিচ জানিয়েছেন, সপ্তমবার আইটিএফ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া তার, তার টিম, পরিবার ও ভক্তদের জন্য গৌরবের বিষয়। নিজের সামগ্রিক পারফরম্যান্স, খেলার ফল দেখে তিনি যেমন খুশি তেমনই বেশি তৃপ্তি পেয়েছেন সার্বিয়ার জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে। আগামী মাসেই আবারও এক মহাকীর্তি গড়ার হাতছানি রয়েছে জকোভিচের সামনে। পুরুষদের সিঙ্গেলসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের দিক থেকে একই জায়গায় রয়েছেন রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচ। তিনজনেই ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। সবচেয়ে বেশি ৯ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব জেতার রেকর্ডটি রয়েছে জকোভিচের দখলেই। আসন্ন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলে তিনি দশমবার এই খেতাবই জিতবেন না, রাফা-রজারকে পিছনে ফেলে গড়বেন নতুন বিশ্বরেকর্ড।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সাল থেকে এই খেতাব দেয়া চালু করে আইটিএফ। এর আগে পিট সাম্প্রাস ৬ বার আইটিএফ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
Leave a reply