স্বামী মেরে হাত ভেঙে দিয়েছিল: শবনম ফারিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

বিচ্ছেদের প্রায় এক বছর পর সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপুর বিরুদ্ধে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

‘স্বামীর নির্যাতনে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেছেন ‘দেবী’ চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী।

টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ফারিয়ার অভিযোগ, বিয়ের তিন মাসের মধ্যে ‘স্বামীর নির্যাতনের শিকার’ হয়ে তার হাত ভেঙেছিল। ভাঙা হাতেই সেই সময় ‘দেবী’ সিনেমার প্রচারে অংশ নিয়েছেন তিনি।

ফারিয়া লিখেছেন, ‘মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পেছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে কীভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙা হাত নিয়ে করেছি, যখন কেউ জানতে চেয়েছি কী হয়েছে, বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কীভাবে ব্যথা পেয়েছি! কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কী বলবে! আমার মা সমাজে মুখ দেখাবে কীভাবে! আমার দুই বোন যে স্বপ্ন নিয়ে এতো আয়োজনের প্ল্যান করছে তাদের কী জবাব দিবো!’

তিনি আরও লেখেন, কাবিনের ৩ মাস না যেতেই এতো কিছু! নিশ্চয়ই সমস্যা আমারই! আমি এইটা ভেবে দিনের পর দিন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি! বার বার ভেবেছি কিছু হলে সবাই আমাকেই খারাপ বলবে! কিন্তু আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার মা আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে! সাহস দিয়েছে! বুঝিয়েছে মানুষ কী বলে তার চেয়ে নিজের ভালো থাকা আরও অনেক জরুরি! জোড় করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বেঁচে থাকা আরও জরুরি!!!’

উল্লেখ্য, একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ অপুর সঙ্গে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আঙটি বদলের পর ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ফারিয়া। এক বছর ১০ মাসের ব্যবধানে ২০২০ সালের নভেম্বরে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply