তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকেরা ছুটেছেন কক্সবাজারে। কিন্তু ঘুরতে গিয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। হোটেল ভাড়া, খাবার-দাবার থেকে শুরু করে এখানে আসা পর্যটকদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এতে ক্ষুদ্ধ সাগর পাড়ে ঘুরতে আসা অতিথিরা।
পর্যটকেরা এত বেশি ক্ষুদ্ধ যে, অনেকেই কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। যমুনা নিউজের সঙ্গে কথা হয়, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বিচার দিতে আসা নারায়নগঞ্জের আনসার আলীর সঙ্গে। এই ভুক্তভোগী জানান, তিনি পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। যে মানের হোটেল রুম দেয়ার কথা ছিল, তা দেয়া হয়নি। আর ভাড়াও নেয়া হয়েছে বেশি।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে ঘুরে জানা যায়, ৫০০ টাকার হোটেল রুমের ভাড়া এখন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। খাবারের দামও বেশ ঊর্ধ্বমুখী। পরিবহণ ভাড়াও বেড়েছে কয়েক গুণ।
এবারের ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন চার লাখের অধিক পর্যটক। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে তৎপর অসাধু ব্যবসায়ীরা। যমুনা নিউজের কাছে যা স্বীকার করছেন একাধিক হোটেল মালিক।
কক্সবাজারের সী গাল হোটেলের নির্বাহী তারেক আজিজ বলেন, তারকা মানের তুলনায় সাধারণ মানের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোতেই নৈরাজ্য চলছে বেশি।
হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, যে সমস্ত হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা গেছে, তারা মাথাপিছু হিসাবে পর্যটকদের সঙ্গে চুক্তি করে অতিরিক্ত দামে রুম ভাড়া দিয়েছেন।
আবার কোনো কোনো হোটেলে বাসের যাত্রীরা অবস্থান করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর যেসব অননুমোদিত হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান আবুল কাসেম।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটকদের হয়রানির একের পর এক অভিযোগ পেয়ে কয়েকটি হোটেলে অভিযান ও জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন।
Leave a reply