ইসরায়েলের দক্ষিণের পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুতের প্রধান উৎস সৌরশক্তি। তবে কিববুৎজ নামের ছোট একটি অঞ্চলে দেখা যায় অন্য চিত্রও। দিনের বেলা সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করলেও রাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে অঞ্চলটিতে। সৌর প্যানেলের অতিরিক্ত শক্তি মজুত রেখে ব্যবহার করা হয় তা। মাটির নিচে থাকা ট্যাংকের বায়ু ঘনীভূত করা হয় পানির সাহায্যে। সেই বায়ু টারবাইনে দিয়ে উৎপাদিত হয় বিদ্যুৎ। অগউইন্ড এনার্জি নামক তেল আবিব ভিত্তিক একটি কোম্পানি চালু করেছে এ প্রকল্প।
অগউইন্ড এনার্জি এর সিইও ওর ইয়োগেভ জানান, গত দশ বছর ধরে প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছি। বিশ্বে এমন প্রযুক্তি এটাই প্রথম, যেখানে পানি ও বাতাস ব্যবহার করে শক্তি সঞ্চয় করা হয় মাটির নিচের ট্যাংকে। ওয়াটার পাম্প ব্যবহার করে বাতাস ঘনীভূত করা হয়। ওয়াটার টারবাইন ঘনীভূত বাতাসকে বিদ্যুতে রূপান্তর করে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব। তবে নবায়নযোগ্য শক্তি সংরক্ষণ ছাড়া টেকসই প্রযুক্তি সম্ভব না বলে জানিয়েছেন এ প্রকল্পের উদ্যোক্তারা। ব্যাটারির মাধ্যমে সঞ্চয় করে রাখা গেলেও তা পরিবেশ বান্ধব নয় বলে দাবি তাদের। এছাড়া ব্যাটারির সক্ষমতা কিছুটা বেশি হলেও খরচের দিক থেকে সাশ্রয়ী অগউইন্ডের প্রকল্প।
ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের চিফ সায়েন্টিস্ট গিডিওন ফ্রায়েডম্যান বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছাড়া টেকসই প্রকল্প সম্ভব নয়। স্টোরেজ হিসেবে তুলনা হলে, ব্যাটারির সক্ষমতাই বেশি। তবে এখানে খরচ অনেকটা কম। তাছাড়া ব্যাটারিতে ক্ষতিকর অনেক উপাদান থাকতে পারে। অগউইন্ডের প্রকল্পে কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হয় না।
৩৮৬ মিলিয়ন ডলারের মূলধন নিয়ে মাঠে নেমেছে অগউইন্ড এনার্জি। ভবিষ্যতে প্রকল্প সম্প্রসারণের পরিকল্পনা তাদের। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় গড়ে আড়াইশো ডলার খরচ হবে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লে আগামী বছর ২০০ ডলারে নেমে আসতে পারে খরচ।
Leave a reply