কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জীবিত না মৃত এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। দীর্ঘদিন মৃত মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর ভাতা তুলতেন তার স্ত্রী। কিন্তু বছরখানেক আগে আবুল হোসেন নামের একজন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় শুরু হয় পরিচয়ের দ্বন্দ্ব। বিভিন্ন নথিতে তথ্যের অসামঞ্জস্য বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে মৃত মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর ভাতা তুলতেন স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন। বছরখানেক আগে ভুরুঙ্গামারীতে ভাতার টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জীবিত। তবে দাবিদার তার স্বামী নন, অন্য একজন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত দু’টি গেজেটেও মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের বাবা ও গ্রামের নামে রয়েছে অসঙ্গতি। এছাড়া জীবিত আবুল হোসেন একাধিকবার নির্বাচন অফিসে বাবার নাম পরিবর্তনের আবেদন করলেও ওয়ারিশ সনদ না থাকায় বাতিল হয়। তথ্যগত এত গড়মিলের কারণে কে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়শা।
মৃত আবুল হোসেনের পরিবারের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা হাতিয়ে নিতেই ইচ্ছাকৃতভাবেই তথ্যে গড়মিল করেছে অসাধুচক্র। তবে ভাতা নেয়া জীবিত ব্যক্তির দাবি তিনিই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তথ্যগত ভুলের জন্য দায় চাপালেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিয়ন ও ডেপুটি কমান্ডারের ওপর।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, মৃত আবুল হোসেন ভারতের টাপুরহাটে ২৮ দিন প্রশিক্ষণ শেষে ৬ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
এসজেড/
Leave a reply