বায়োবাবলের ধকলে ক্রিকেটাররা বিধ্বস্ত: পাপন

|

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিপিএল নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানিয়েছে, টানা বায়োবাবলের ধকলে ক্রিকেটাররা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে হোটেলে আইসোলেশনে রয়েছে। দলের বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ করোনা পজেটিভ হওয়াতে করোনা পরীক্ষায় খেলোয়াড়রা নেগেটিভ এলেও রঙ্গনা হেরাথের সাথে একই ফ্লাইটে থাকায় সবাইকে পরতে হয় ‘ইয়েলো ব্যান্ড’। পাশাপাশি এই সময়ে ক্রিকেটারদের উপর থাকছে অনুশীলন ও জিমনেসিয়াম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা। আগামী ২১ তারিখে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আবারও করোনা পরীক্ষা করা হবে। তখন যদি সবাই করোনা নেগেটিভ হয়, তবে আশা করা যাচ্ছে যে সবাই কোয়ারেন্টাইন থেকে হয়ে প্র্যাকটিস শুরু করতে পারবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, সমস্যাটা হচ্ছে, আমাদের খেলোয়াড়রা খুব কঠিন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। টানা বায়োবাবলে থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপের লম্বা বায়োবাবলেরও অনেক আগে থেকেই এমন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। আর নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করার পর নির্ধারিত সময়েও যদি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে আসে, তার দিন পাঁচেক পরেই বিপিএল শুরু হওয়ার কথা। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো স্বাভাবিকভাবেই চাইবে, ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে তাদের বায়োবাবল, তাদের কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করবে, তাদের কোচিং স্টাফের সাথে প্র্যাকটিস করবে। যেদিন বিপিএল শেষ হওয়ার কথা, সেদিন আবার আসবে আফগানিস্তান। তার মানে আবারও বায়োবাবল। আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ শেষ হওয়ার ৪-৫ দিন পরই ক্রিকেটারদের আবার উড়ে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টাইগারদের ব্যস্ত সূচি বর্ণনা করে পাপন বলেন, এখানেই শেষ নয়। এই ব্যস্ত সূচি চলবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ক্রিকেটারদের তাই একদমই বিশ্রাম দেয়া যাচ্ছে না। তারা মানসিক ও শারিরিকভাবে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। এমনকি অনেক ক্রিকেটার দেশে ফিরে আসার চিন্তাও করেছেন। কিন্তু তার কোনো সুযোগ আসলে নেই। তবে ২১ তারিখের পর আবার কোয়ারেন্টাইন দীর্ঘায়িত হলে আমরা নিউজিল্যান্ড বোর্ডের সাথে আলোচনায় যেতে পারবো। কারণ, তাদের হাতেও সময় নেই। বাংলাদেশ সিরিজের নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ পরেই নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কিউইদের সূচিও একদমই ঠাসা। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডেরও এখানে তেমন কিছুই করার নেই। কারণ তাদের স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে সবকিছু। এরইমধ্যে নিউজিল্যান্ড বোর্ড যথাসাধ্য আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply