চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে ৮৬ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। সিটের নিচে থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা প্রায় ১০ কেজি ওজনের ওই স্বর্ণের আনুমানিক মুল্য ৭ কোটি টাকা। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা না গেলেও বিমানবন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ শুল্ক গোয়েন্দাদের।
শাহ আমানত বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা তৈয়বুর রহমান জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে গোপন তথ্য ছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটে আসছে অবৈধ স্বর্ণের বারের একটি বড় চালান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তল্লাশি শুরু করেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে বিমানটির িএকটি সিটের নিচে কালো ৪টি টেপে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায় ৮৬টি স্বর্ণের বার।
এর আগেও গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ বিমানের একই ফ্লাইটের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয় ৮০ পিস স্বর্ণের বার। বিমানবন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশ ছাড়া এভাবে পাচার সম্ভব নয় বলেও মনে করেন শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
শুল্ক গোয়েন্দাদের দাবি, হযরত শাহ জালাল এবং শাহ আমানত বিমানবন্দরকেন্দ্রিক একাধিক স্বর্ণ চোলাচালান সিন্ডিকেট সক্রিয়। স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে ঘুরে ফিরে এই চক্রগুলোই জড়িত বলে দাবি শুল্ক গোয়েন্দাদের।
উদ্ধারকৃত একেকটি স্বর্ণের বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। শুল্ক গোয়েন্দার হিসাবে উদ্ধার করা প্রায় ১০ কেজি ওজনের এসব স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ পণ্যের আরও চালান উদ্ধার হয়েছে। আজই সেন্টমার্টিন থেকে লক্ষাধিক ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে আটজনকে। এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি পড়ুন এই লিংকে।
/এডব্লিউ
Leave a reply