‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও’ স্ট্যাটাস দিয়ে যুবক নিখোঁজ

|

‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও, আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, আপু মুশাব্বিরের প্রতি খেয়াল রাইখ..’ ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিয়ে নিখোঁজ হয় ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদ। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ থেকে জামালপুরের মেলান্দহে নিজ বাড়িতে ফেরার কথা ছিল।

নিখোঁজ শিব্বির আহমেদের বাড়ি, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে বানিয়াবাড়ী এলাকায়, তিনি ওই এলাকার আব্দুল্লাহ আল-ফারুকের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিব্বির আহমেদ ময়মনসিংহ শহরের মীরবাড়ী কলেজ রোড় এলাকায় একটি মেসে থাকত। সে আনন্দ মোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকালে ফোন দিয়ে বাড়িতে আসার কথা জানায় সে। এর আগে শিব্বির আহমেদ সকালে তার ফেসবুক থেকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়, স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘ভালো থাকবে জায়গা, সুখে থাকবে শহর’, ‘ঘর ,পরিবার, জায়গা ক্ষমা করে দিও’।

এর পরে সকাল ৭টার দিকে আবার ফোন দিয়ে সে বাড়িতে জানায়, ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে বাড়ি আসছে সে। ফোন দেয়ার কিছু আগে সর্বশেষ ফেসবুকে আরও একটি একটি স্ট্যাটাস দেয়, ‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও, আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, আপু মুশাব্বিরের প্রতি খেয়াল রাইখ’।

এমন স্ট্যাটাস দেখে আবার ফোন দিলে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার মেস ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ শিব্বিরের খালাতো ভাই মুত্তাছিম বিল্লাহ বলেন, আমাদের ধারণা মেস থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতেই বের হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার ফেসবুক কয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়, তারপর থেকে আমরা খোঁজখবর নেয়া শুরু করি, সর্বশেষ ফোনে জানানো হয়ে বাড়িতে আসছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে আমরা তাকে কোথাও খুঁজে পাইনি। সে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে না। হঠাৎ এ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে কি জন্য নিখোঁজ হলো আমারা ধারণা করতে পারছি না।

পড়ুন: হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে আবারও ক্ষুব্ধ মাশরাফী

শিব্বির আহমেদের বাবা আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আমার ছেলে খুব সহজ সরল, সে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তার কোনো টাকা পয়সার সমস্যাও ছিল না। হঠাৎ কী জন্য এ ধরনের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিখোঁজ হলো কিছুই বুঝতে পারছিনা। শুক্রবার রাতে কোতোয়ালী থানায় জিডি করেছি। এখনো কোনো খোঁজ খবর পাইনি, কোথায় আছে বা কেমন আছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply