নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতে নেই দু’হাজারের বেশি অবৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। এসব প্রতিষ্ঠান বছরে ফাঁকি দিচ্ছে ২০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব। কিন্তু লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মদদ থাকায় অনেক কোম্পানি থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই, আইনে কঠোর বিধান থাকলেও অবৈধ ইন্টারনেট সেবা দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
বৈধ আইএসপি’র প্রায় সমপরিমাণ, অর্থাৎ দু’হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবসা করছে। যার অর্ধেকের বেশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে। স্থানীয় প্রশাসন আর নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে তাদের রমরমা বাণিজ্য।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে প্রায় দু’শো কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে, অবৈধ ব্যবসায়ীদের নজদারির আওতায় আনা দুরূহ বলে মনে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অনুমোদনহীন আইএসপিদের ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে সহযোগিতা করছে কিছু লাইসেন্সধারী আইএসপি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র নীতিমালায় বলা আছে, ব্রডব্যান্ড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের মাঝে ব্যান্ডউইথ শেয়ার করতে পারবে না। কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ইন্টারনেট ও ব্যান্ডউইথ সেবা দেয়, তবে অনধিক দশ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া পিকআপ চালক আটক
অবৈধ আইএসপিদের সহযোগিতা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।
দেশে বৈধ আইএসপিদের গ্রাহক আছে প্রায় এক কোটি। এর বাইরে অবৈধ আইএসপিদের কাছ থেকে সেবা নিচ্ছে আরও ৪০ লাখের বেশি গ্রাহক।
এসজেড/
Leave a reply