রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরসা’ সক্রিয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ রেপোটিয়ার টম অ্যান্ড্রুস। এটি নিয়ে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা দেয়ারও তাগিদ দিয়েছেন সাবেক এই মার্কিন কংগ্রেসম্যান। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, আরসার উপস্থিতি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় সরকার। জাতিসংঘ তাদের চিহ্নিত করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৭ এর আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের হাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭৫ জনের। এসব হত্যাকাণ্ডে মামলা হয়েছে এক হাজার দুইশত এরও বেশি। নিহত কারও কারও মরদেহের খোঁজও মেলেনি। সবশেষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা খুনের পর নতুন করে আলোচনায় আসে মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন আরসার তৎপরতার বিষয়টি।
এক সপ্তাহের বাংলাদেশ সফর শেষে জাতিসংঘের প্রতিনিধিও জানালেন আরসা নিয়ে তার উদ্বেগের কথা।
জাতিসংঘের বিশেষ রেপোটিয়ার টম অ্যান্ড্রুস বলেন, রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে আরসার কর্মকান্ডের বিষয়টি জেনেছি। এটা উদ্বেগের এবং এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছি। জাতিসংঘকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের উৎস মিয়ানমার, তাই এর সমাধানও সেখানেই বলে মনে করেন সাবেক এই মার্কিন কংগ্রেসম্যান।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে হবে। যেমন, দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর সমন্বিতভাবে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা সরকারের অগ্রাধিকার। এজন্য পুরো ক্যাম্পে কাটাতারের বেড়া দেয়া হবে। তবে এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আপত্তি করছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে এগারো লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিক অবস্থান করছে।
Leave a reply