মানিলন্ডারিং গুরুতর আর্থিক অপরাধ। বর্তমানে এ ধরনের অপরাধে জামিন দেয়া যায় না। একটি মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশনা দেয় আপিল বিভাগ। মানিলন্ডারিং মামলায় ক্যাসিনো কান্ডের অন্যতম হোতা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের জামিন বাতিল করে দেয়া রায়ে এ নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
এর আগে গত ১৯ আগষ্ট ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া রাজধানীর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারকে চার মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়া গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। তাদের বাসায় টয়লেটে স্বর্ণের কমোড পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।
এরপর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, আট কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তাদের জবানবন্দিতে জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে আসায় তাকে গতবছর ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর ও ওয়ারী থানায় করা পৃথক চার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেন্ডারিয়া থানায় ওই বছরের ২৫ মে একটি, সূত্রাপুর থানায় ২৬ সেপ্টেম্বর দু’টি এবং ওয়ারী থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর একটি মামলা করা হয়।
গত বছর ২২ জুলাই এসব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। গেন্ডারিয়া থানার মামলায় ১৬ জন, সূত্রাপুরের দু’টি মামলায় ১৫ ও ১০ জন করে এবং ওয়ারী থানার মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রুপনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।
Leave a reply