পদ্মায় পিনাক ট্র্যাজেডির তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আজও নিশ্চিত হওয়া যায়নি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২১ লাশের পরিচয় কী? সরকারি প্রশাসনের কাছে সংরক্ষিত আছে নিহতদের ডিএনএ’র নমুনা। তবে কেউ লাশগুলোর খবর না নেয়ায় এ নিয়ে আগাতে পারছে না প্রশাসন।
এদিকে সরকারি হিসেবে ওই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আছে ৫৩ জন। তাদের স্বজনদের অভিযোগ, প্রশাসনের কেউ খোঁজও নেয়নি তাদের। পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া তো অনেক দূরের কথা।
ঘটনাটা ২০১৪ সালের। উত্তাল পদ্মায় ডুবে যায় পিনাক-৬ নামে একটি যাত্রবাহী লঞ্চ। আশপাশ দিয়ে চলা কয়েকটি লঞ্চের মানুষের মোবাইলে ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। মাঝ পদ্মায় অসহায়ভাবে শত মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা দেখে চোখ ভিজেছিল দেশের মানুষের। সেদিনের স্মৃতি আজও কাঁদায় অনেককে।
এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয় ৪৯ যাত্রীর লাশ। এর মধ্যে ২৮ জনের মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয় স্বজনদের। বাকি ২১ জনকে দাফন করা হয় বেওয়ারিশ হিসেবে। দাফনের আগে প্রত্যেকটি মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু আজ অবদি ২১ জনের কারোরই পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ জানান, ডিএনএ সংরক্ষণের পর নতুন করে কেউ স্বজন নিখোঁজ থাকার দাবি জানাননি। একই কথা শিবচর পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খানের।
দুর্ঘটনায় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া নিহত ২৮ জনের পরিবারকে দেয়া হয় আর্থিক অনুদান। কিন্তু নিখোঁজ ৫৩ জনের পরিবারকে সহায়তা তো দূরের কথা, খোঁজ-খবরও কেউ নিতে আসেনি- এমন অভিযোগ স্বজনদের।
পিনাক ট্র্যাজেডির পর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৪ দফা সুপারিশ করে। যেগুলোর বেশিরভাগই এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
/কিউএস
Leave a reply