পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রতারক ফিটিংবাজ মিন্টু

|

পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের দত্তপাড়ার যুবক মিন্টুর বিরুদ্ধে। আইনের ভয় দেখিয়ে বা ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করাই তার উদ্দেশ্য। তার অভিনব প্রতারণার কারণে স্থানীয়দের কাছে সে পরিচিত ফিটিংবাজ মিন্টু নামে। অতিষ্ঠ মানুষ মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়েছে পুলিশের কাছে।

নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় মিন্টু হোসেন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। নাটোর সদর থানার এএসআই মো. আক্কাস জানালেন, আগে গবাদিপশুর ব্যবসা করলেও পরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করে সে।

পুলিশ সদস্যদের সাথে মেলামেশার সুবাদে সব জায়গায় নিজেকে পুলিশের লোক হিসেবে পরিচয় দেয় মিন্টু হোসেন। ধীরে ধীরে বহুমাত্রিক প্রতারণায় জড়ায়। তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব অনেকেই। এলাকাবাসীর মুখে মুখে এখন মিন্টুর অভিনব প্রতারণার ফিরিস্তি। এলাকাবাসী জানায়, মানুষকে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ফিটিং দিয়ে বেড়াচ্ছে মিন্টু। এদিকে যমুনা টিভির অনুসন্ধানের খবর পৌঁছে যায় মিন্টুর কাছে। এরপর থেকেই গা ঢাকা দেয় সে।

এলাকাবাসী জানালেন, তারা এই প্রতারকের কাছ থেকে নিস্তার চায়। অন্যদিকে মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ সুপার কার্যালয়।

ইতোমধ্যে গ্রামবাসীর অভিযোগ ডিবির তত্ত্বাধনায়নে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। তদন্তে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে নাটোর পুলিশ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

মিন্টুকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তার কর্মকাণ্ডে কোনো অসৎ পুলিশ সদস্যের মদদ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

এছাড়াও নাটোরের লালপুর উপজেলায় বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম হয়ে উঠেছে ইমো প্রতারকদের ‘সদর দফতর’। গ্রামটিতে বিভিন্ন বয়সী অনেকেই জড়িয়ে পড়েছে মোবাইল অ্যাপ ইমো প্রতারণার সাথে। এ প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply