পাকিস্তানে মিললো ২৩০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধমন্দির

|

ছবি: সংগৃহীত

খননকাজ চালাতে গিয়ে মাটির নিচ থেকে খুঁজে পাওয়া গেল বৌদ্ধ যুগের স্থাপত্য। পাকিস্তানি এবং ইতালীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি যৌথ খনন দল উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াট জেলার বারিকোট তহসিলের বাজিরা শহরে অন্তত ২,৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো স্থাপত্য ও আরও কয়েকটি মূল্যবান প্রত্নবস্তু আবিষ্কার করেছে।

ইতালির প্রত্নতত্ত্ববিদদের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক লুকা এম ওলিভেরি জানান, মাটি খুঁড়ে পাওয়া বৌদ্ধদের এ স্থাপত্য মৌর্য যুগের। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।

আলেকজান্ডারের সময়ে গ্রিকরা পাকিস্তানের সোয়াট উপত্যকার বাজিরা এলাকায় এসেছিলো। তারা শহরটিকে তাদের দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলে। তখনই তারা মৌর্য সম্রাট অশোকের সময়ে নির্মিত ওই বৌদ্ধস্থাপত্যের কাঠামোগুলির খোঁজ পায়।

জানা গিয়েছে, খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাজা মেনান্দার পরবর্তী সময়ে স্থাপত্যকীর্তিটির আয়তন বাড়ানো হয়। চতুর্থ শতকের এক ভূমিকম্পে বাজিরার কুশান শহরটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। এই সময়েই মন্দিরটি পরিত্যক্ত হয়।

অধ্যাপক লুকা বলেন, এটি একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার। এতে গান্ধারে বৌদ্ধের অবয়বের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। তক্ষশীলায় এ ধরনের মাত্র একটি মন্দির পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, তবে এই আবিষ্কার বৈপ্লবিক। কারণ, এটি প্রমাণ করে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে সোয়াট উপত্যকায় বৌদ্ধদের উপস্থিতি ছিল।

পাকিস্তানের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তরফে আবদুল সামাদ খান বলেন, নানা কারণে নতুন এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে সে সময়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা ও নানা সংস্কৃতির একত্র বিকাশের বিষয়টি উঠে এসেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply