৫ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল:

গত ১৭ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে অজ্ঞাত এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পাঁচদিনের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ‌এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পিবিআই এর পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ এক প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

১৭ ডিসেম্বর লাশ উদ্ধারের পর পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা এই হত্যা মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী নিহতের স্বামী মো. ওয়াসিমকে শনাক্ত করে এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি মো. ওয়াসিম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া এলাকার ইছাহকের ছেলে।

এসময় ওয়াসিম জানায়, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। সে ভোলা জেলার লালমহন থানার দেবীর চর বেরীবাঁধ হাওলাদার বাড়ি এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে। নাজমা ওই ইটভাটায় বাবুর্চির কাজ করতো। ইটভাটায় কাজ করার সময় নাজমার সাথে ওয়াসিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ইটভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওয়াসিম নিজ এলাকা দিনাজপুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একথা শুনে নাজমা ওয়াসিমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলে। পরে নাজমার ভাড়া করা বসায় নিয়ে যায়। সেখানে নাজমা ও তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসিমের সাথে নাজমার বিয়ে পড়ায় এবং তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোড়া খুনের নেপথ্যে ৮০ লক্ষ টাকা!

পরবর্তীতে, চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর মির্জাপুর ইটভাটায় নাজমা বেগম দেখা করতে আসেন ওয়াসিমের সঙ্গে। পরে সেখানে দুইজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমা তাকে দেনমোহরের তিন লক্ষ টাকা ও ডিভোর্স চায়, তা না হলে মামলা করার ভয় দেখায়। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে আরও ঝগড়া হয়। পরে ইটভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার গলায় থাকা উড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply