স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতিগ্রাম হাসপাতাল মোড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবারের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম এবং ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়ছেন। বুধবার বিকেলে আলমগীর হোসেনের স্ত্রী রওশন আরা এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসেম আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমসহ কয়েকজন ইউনিয়নের রতিগ্রাম সুকদেব এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করতে যান।
এ সময় তাজুল ইসলামের ছেলে সুমন এবং কর্মী মিলন মিয়াসহ নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তাদের বাধা দিয়ে ফেরত যেতে বাধ্য করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ৫/৭টি মোটরসাইকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে যায় মোটরসাইকেল প্রতীকের কয়েকজন সমর্থক।
পথিমধ্যে, প্রতিপক্ষের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক তাদেরকে থামিয়ে গালিগালাজ করলে উভয় পক্ষই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে মিলন মিয়া (৪২), আজাদ মিয়া (৪৫), হান্নান মিয়া (৫৫) সহ অজ্ঞাত একজন আহত হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু সরকার সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনোপক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এসএইচ
Leave a reply