স্বামীর সাথে ধাক্কা লাগায় স্ত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তিন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে বলে জানান ওই গৃহবধূ। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে র‍্যাব।

গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের রিসোর্ট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন ওই পরিবার। উঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে ঘুরতে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে, কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এসময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পরবর্তীতে পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিন জন। ধর্ষণ শেষে তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক।

আরও পড়ুন: রাতে আশ্রয় না দেয়ায় ধর্ষণের অপবাদ, নিজেই ফাঁসলেন তরুণী

ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা। পরে ওই নারী জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তা কক্ষের দরজা খুলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়।

তারপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন কক্সবাজার র‍্যাব অফিসে। রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার র‍্যাবের একটি টিম জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।

তিনি জানান, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। ছায়া তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

অপরদিকে কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনিরুল গিয়াস জানান, এ ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। ধর্ষণের শিকার নারীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply