সুশান্ত সিনহা:
ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাভুক্ত (ড্যাপ) এলাকায় ৯৫ ভাগ ভবনের অনুমোদন নেই। তাই জরিমানা বাড়িয়ে এসব স্থাপনা বৈধ করার পরিকল্পনা রাজউকের। এমনকি পার্কিং ছাড়াও মিলবে আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি। তবে রিহ্যাবের অভিযোগ, বাসযোগ্য নগরীর মহাপরিকল্পনায় আবাসন ব্যবসায়ীদের যুক্তই করা হয়নি।
২০০৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আবাসিক ও বাণিজ্যিকসহ প্রতিবছর গড়ে ৯৫ হাজার নতুন স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। অথচ রাজউক থেকে নকশাসহ ভবনের অনুমোদন নিয়েছে মাত্র ৪ হাজার ১৭৫টি। অথ্যাৎ ৯৫ শতাংশ ভবনই অনুমোদহীন। তবে রিহ্যাব জানোচ্ছে, তারা অনুমোদন ছাড়া কোনো ভবন তৈরি করে না।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্যাপভুক্ত মোট রাস্তার মধ্যে ১০ ভাগের প্রশস্ততা ২০ ফুটের বেশি। আর ৩৬ শতাংশ রাস্তার প্রশস্ততা ৮ ফুটের নিচে। তাই নতুন প্রস্তাবে ভবনের উচ্চতা কতটা মিলবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন ও প্রথম সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ।
২০০৮ সালের ভবন নির্মাণ বিধিমালায় থাকা আবাসিক ভবনে পার্কিং রাখার বাধ্যবাধতা থাকছে না। ড্যাপে প্রস্তাব করা হয়েছে কমিউনিটি লেভেলে পার্কিং এর বিকল্প জায়গা রাখার। ঢাকার মোট এলাকার মধ্যে উন্মুক্ত জায়গা ১ শতাংশের কম। তাই বাসযোগ্য নগরী করতে কমিউনিটি বা ব্লকভিত্তিক ৩ কাঠার প্লট মালিকদের একত্রে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে ড্যাপে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানালেন, এবারের পরিকল্পনায় বাড়িগুলো এমনভাবে নির্মাণ করতে বলা হয়েছে, যাতে খেলার মাঠ বা এ জাতীয় স্থাপনার জন্য কিছু জায়গা ফাঁকা থাকে।
বাসযোগ্য নগরী করতে ড্যাপে ৬টি অঞ্চলে ৫টি আঞ্চলিক ৪৯টি জলকেন্দ্রিকসহ বেশ কয়েকটি ইকোপার্ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে সমালোচনার মুখে বাতিল হলো রাজধানীতে ভবন নির্মাণে বেধে দেয়া উচ্চতা। ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) খসড়ায় বলা হয়েছিল, সর্বোচ্চ ৭ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা যাবে। তবে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আগের মতো বহুতল ভবন নির্মাণের সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
/এডব্লিউ
Leave a reply