রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে আহবায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩০ জনে। এছাড়াও দগ্ধ হয়েছেন অনেক যাত্রী। লঞ্চে আটকা পড়েছেন অনেকে। এতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিগারেটের আগুন থেকেই লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত?
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার ৮ নং গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের আশেপাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে সকল বয়সের প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
লঞ্চের যাত্রী সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন লঞ্চে থাকা যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: আরও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
আরেকজন যাত্রী জানান, লঞ্চটি ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে যায়। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরাও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেছেন বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠির ফায়ার স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ চলেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। লঞ্চটি বর্তমানে দেউরি গ্রামের বিষখালী নদীর তীরে আছে। সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ও পুলিশ।
ইউএইচ/
Leave a reply