ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (বরিশাল) কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন। আশপাশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দগ্ধ অনেকের মৃত্যু হওয়ায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঝনদীতে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে জানা গেছে। বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি নদীর তীরের দিয়াকুল গ্রাম এলাকায় ভেড়ানো হয়।
লঞ্চটিতে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, সেটি এখনো বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
তবে ঢাকা থেকে একইসাথে ছেড়ে আসা আরেকটি লঞ্চ রাজারহাটের ইঞ্জিন চালক যমুনা নিউজকে দিয়েছেন অবাক করা তথ্য। সাধারণত লঞ্চের ‘সাইলেন্সার’ পাইপের তাপ থেকে লঞ্চকে রক্ষা করতে একধরণের তাপনিরোধক কাপড় জড়ানো থাকে। আর এই পাইপে তাপনিরোধক কাপড় জড়ানো না থাকলে সামান্যতেই আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু লঞ্চ রাজারহাটের ইঞ্জিন চালকের দাবি, অভিযান-১০ লঞ্চের এই সাইলেন্সারে কোনো ধরণের তাপনিরোধক কাপড় ছিল না। ঢাকায় যখন দু’টি লঞ্চ পাশাপাশি ছিল তখন রাজারহাট লঞ্চের ইঞ্জিনচালক বিষয়টি খেয়াল করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। আর তিনি আশঙ্কা করছেন, এই পাইপে তাপনিরোধক কাপড় না থাকায় সেখান থেকেও এই অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭
এই লঞ্চটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিল বলে জানা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
Leave a reply