Site icon Jamuna Television

কক্সবাজারে ধর্ষণের হোতা আশিক ১৬ মামলার আসামি

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল হোতা আশিকুল ইসলাম ১৬ মামলার আসামি। তার নেতৃত্বে থাকা ৩৬ জনের চক্র, রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া। যারা হোটেল মোটেল জোনের ত্রাস হিসেবে পরিচিত। ভয়ে মুখ খোলে না কেউ। এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও, গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত কেউ-ই।

কক্সবাজারে স্বামী সন্তান নিয়ে বেড়াতে আসা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আশিকুল ইসলামের বাড়ি বাহারছড়ায়। ইয়াবার ডিলার হিসেবেও পরিচিত তিনি। কারাগার থেকে বেরিয়েছেন দু’সপ্তাহ আগে। হত্যা, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতন, অস্ত্র মাদকসহ তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে কক্সবাজার মডেল থানায়। অপরাধ ঢাকতে নিজের ফেসবুকে ধর্মের কথা বলে বেড়ান।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তার সাথে থাকা দুই সহযোগী ইস্রাফিল হুদা জয় ও মেহেদী হাসান বাবুও চিহ্নিত অপরাধী। আশিকের নেতৃত্বে রয়েছে ৩৬ জনের সংঘবদ্ধ চক্র, যারা নিজেদের পরিচয় দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে। সংসদ সদস্য, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ অনেকের সাথে তাদের ছবিও রয়েছে ফেসবুকে। এদের অপরাধের আখড়া পর্যটন গলফ মাঠের পেছনের খুপড়ি ঘর। এখানে প্রকাশ্যে তারা মাদক সেবন, ধর্ষনসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালালেও ভয়ে মুখ খোলে না কেউ।

এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যেও ভর করেছে অজানা আতংক ও নিরাপত্তাহীনতা।

কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ, আশিকুলের নেতৃত্ব সংঘবদ্ধ চক্রটি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে বেপরোয়া দীর্ঘদিন ধরে। এর আগেও ঘটিয়েছে অনেক অপরাধ কর্মকান্ড।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। এরমধ্যে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন গ্রেফতার হলেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল অভিযুক্ত ৩ জন আশিকুল, জয় ও বাবু।

ঢাকা থেকে স্বামী ও ৮ মাসের শিশু সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়া ওই নারী বুধবার রাতে প্রথমে একটি ঝুপড়ি ঘরে এবং পরে হোটেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হন।

Exit mobile version