মামির সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তার ভাগ্নে। এ নিয়ে ওই বিবাহিত ভাগ্নের সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকতো। তবে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তা চরমে পৌঁছায়। ওই নারীর সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন ভাগ্নের শ্বশুর-শাশুড়ি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মামির নাম মইতুন্নিশা বিবি। ভাগ্নে আসগর আলি তার সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি।
২০১৭ সালে আজগরের সাথে জেমুয়ার বাসিন্দা আকিদা বিবির বিয়ে হয়েছিল। তবে বিয়ের পরেও মামি ও ভাগিনার পরকীয়া সম্পর্কে ভাটা পড়েনি। এ নিয়ে আকিদার সাথে আসগরের সংসারে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকতো। বেশ কয়েক বার তাদের অশান্তি মেটানোর চেষ্টা করেছেন স্থানীয়রা। তবে তাতেও বিয়ষটির সুরাহা হয়নি।
মেয়ে আকিদার কাছ থেকে জামাইয়ের পরকীয়ার কথা শুনে জেমুয়া থেকে হরিবাজারে ছুটে আসেন আজগরের শ্বশুর-শাশুড়ি শেখ আকশারুল এবং খুরশিদা বিবি। এর পর শুরু হয় ঝগড়া। সেই ঝামেলার মধ্যেই মইতুন্নিশা বিবিকে সামনে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন তারা। মইতুন্নিশা বিবিকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন আসগরের শ্বশুর-শাশুড়ি।
আরও পড়ুন: প্রেমিককে আত্মহত্যা প্ররোচনায় কয়েক হাজার ম্যাসেজ, প্রেমিকার কারাদণ্ড
গুরুতর অসুস্থ মইতুন্নিশা বিবিকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আসগরের শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি, জামাইয়ের সাথে ছোট মামির পরকীয়ার সম্পর্কের জন্যই এ অঘটন ঘটেছে।
Leave a reply