ক্রিসমাসের ছুটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ধাক্কা সামলাতে বাধ্য হয়ে ফ্লাইট বাতিল করেছে বিভিন্ন দেশ। গেলো দুই দিনে সারা বিশ্বে বাতিল হয়েছে ৪ হাজারের বেশি ফ্লাইট। মার্কিন বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বলছে, নিজেদের ক্রু এবং অন্যান্য কর্মী করোনায় সংক্রমিত হতে পারে এমন শঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান চলাচল। আবার অনেক দেশ নাগরিকদের ক্রিসমাস উদযাপনে নিরুৎসাহিত করতে বন্ধ করে দিয়েছে অভ্যন্তরীণ বিমানও।
ক্রিসমাস বা বড়দিন উপলক্ষে ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারা বিশ্বেই লেগেছে উদযাপনের আমেজ। এই ছুটিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবারের কাছে ফিরছেন অনেকে। শঙ্কা জেগেছে, এতেই ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে ওমিক্রনের বিস্তার। তাই কোনো সতর্কতায় নাগরিকদের নিরুৎসাহিত না করতে পেরে ফ্লাইট বাতিল করেছে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। তথ্য বলছে, ক্রিসমাসে সারা বিশ্বে ৪ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইট বাতিল হয়েছে দেড় হাজারের মতো।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এবং ডেলটা এয়ারলাইন্সের শঙ্কা ছিল, বিশাল এই উৎসবে নিজেদের ক্রু এবং অন্যান্য কর্মী সংক্রমিত হতে পারেন। সে কারণেই নেয়া হয়েছে ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত। সংক্রমণ ঠেকাতে দুই শতাধিক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে সচেতন অনেকেই স্বেচ্ছায় ভ্রমণ থেকে বিরত রাখছেন নিজেকে। তেমনি একজন বলছেন, সব কিছু ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত হতেই এখানে এসেছি। আমি সব সময় পরিবারকে নিরাপদ রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: চীনের শিয়ান শহরে লকডাউন ঘোষণায় বিপাকে বাসিন্দারা
আরেকজন বলেন, এতো ভিড়ের মধ্যে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। আমি এখন পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে চাই। ছুটির পরে গিয়ে পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবো।
শুধু ফ্লাইট বাতিলই নয়, লকডাউন এর মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন দেশ। বাড়তি সতর্কতায় স্পেনের কাতালুনিয়ায় জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। ২৮ ডিসেম্বর থেকে একটি বারে একসাথে ১০ জনের বেশি থাকতে পারবে না জার্মানিতে। এছাড়া ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সব বার এবং নাইটক্লাব বন্ধ ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। আর বাসার বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে ইতালি, স্পেন এবং গ্রিস।
আরও পড়ুন: ‘অনেক বকাবকি করেছি, ক্ষমা করিস’ বোনদের লিখে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র
Leave a reply