সন্তানের চিকিৎসার জন্য টাকা সংগ্রহ করছিল কক্সবাজারের ভুক্তভোগী নারী

|

চাঁদার টাকা না পেয়েই কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন আশিক। এমন ধারণার কথা জানাচ্ছে র‍্যাব। তারা জানায়, সন্তানের চিকিৎসার জন্য টাকা সংগ্রহ করতে ভুক্তভোগী পরিবারসহ কক্সবাজারেই অবস্থান করছিল। তাদের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় আশিক ও তার সংঘবদ্ধ চক্র।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে এক নারীকে ধর্ষণ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী আশিকুল ইসলাম আশিক। রোববার রাতে মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। ঘটনার পর চেহারা বদলে লুকানোর জন্য কক্সবাজার থেকে ঢাকা হয়ে পটুয়াখালী যাচ্ছিল সে।

র‍্যাব বলছে, ধর্ষণের শিকার নারী পরিবারসহ ৪ মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছিল। অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিলেন তারা। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আশিক সংঘবদ্ধ চক্রের নেতা। সি বিচ থেকে যারা অর্থ রোজগার করতো তাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা বা কমিশন নিতো সে। ধর্ষণের কিছুদিন পূর্বে ওই নারীর কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করে আশিক।

র‍্যাব জানায়, এই আশিক পঞ্চমবারের মত পুলিশের হাতে আটক হয়। মাদক, অস্ত্র, ব্ল্যাকমেইল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগে মামলাও আছে আসামির বিরুদ্ধে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে আশিককে। আসামি আশিক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে, সে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়।

এখনও পর্যন্ত কক্সবাজারের ধর্ষণকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply