ডেসমন্ড টুটু: বর্ণবাদ বিরোধী আপোষহীন নেতাকে শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ

|

ডেসমন্ড টুটু। ছবি: সংগৃহীত

শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের আপোষহীন নেতা ডেসমন্ড টুটুকে। শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা। ১ জানুয়ারি শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বিদ্রোহী যাজক খ্যাত এই কালজয়ী নেতার।

নেলসন ম্যান্ডেলার পর ডেসমন্ড টুটুই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর। এই মহান নেতার মৃত্যুতে তাই শোকের আবহ পুরো দেশজুড়ে। একজন বলেছেন, আমরা এমন একজন অভিভাবক হারিয়েছি যিনি আমাদের অধিকারের জন্য লড়েছিলেন। তার জন্যই আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখেছি। আরেকজন কণ্ঠে হাহাকার, মনে হচ্ছে আমরা সব হারিয়েছি। এমন নেতা যুগে যুগে একজনই হন। আর টুটুর জীবনী লেখক স্টিভেন গিস আল–জাজিরাকে বলেন, টুটু ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মার্টিন লুথার কিং।

ছবি: সংগৃহীত

১৯৩১ সালে জোহানেসবার্গে জন্ম ডেসমন্ড টুটুর। পিতার পথ ধরে তিনিও বেছে নেন শিক্ষকতার পেশা। ১৯৫৩ সালে স্কুলে বর্ণবৈষম্য মূলক আইন চালু হলে ওই পেশা ত্যাগ করতে হয় তাকে। এরপর থেকেই বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন টুটু। তবে প্রত্যক্ষ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত হন সত্তরের দশকে।

ডেসমন্ড টুটু ও নেলসন ম্যান্ডেলা। ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে ধর্মতত্ত্বের উপর পড়াশোনা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে ১৯৬০ সালে যাজক হিসেবে দীক্ষা নেন টুটু। ১৯৮৫ সালে তিনি নিযুক্ত হন জোহানেসবার্গের বিশপ। কেপটাউনের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ বিশপও ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন এই মহান নেতা।

নোবেল পুরস্কারে ভূষিত বিদ্রোহী যাজক। ছবি: সংগৃহীত

নেলসন ম্যান্ডেলা যখন কারাবদ্ধ, সেই সময়টায় বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন টুটু। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় এবং সবার অধিকার নিশ্চিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আখ্যা দেন রেইনবো নেশন হিসেবে। বৈষম্য, নিপীড়ন আর ক্ষমতাসীনদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আজীবন ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠস্বর। এমনকি নেলসন ম্যান্ডেলার সরকারকেও সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তাই ডেসমন্ড টুটু পরিচিতি পেয়েছিলেন বিদ্রোহী যাজক নামে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সেভ দ্য চিলড্রেনের ২ কর্মী নিখোঁজ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply