কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এজহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম ইসরাফিল হুদা জয়। তিনি কক্সবাজার শহরের বাহারছরা এলাকার মোহাম্মদ শফির ছেলে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মুসলেমউদ্দীন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম ইসরাফিল হুদা জয়কে আজ মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সদরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনার পর সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
তিনি জানান এ নিয়ে ধর্ষণের এই মামলায় এজহার নামীয় তিনজনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি ধর্ষণের মূল হোতা আশিকুল ইসলাম আশিককে মাদারীপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতে সোপর্দ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের হোটেলে আটকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার
ট্যুরিস্ট পুলিশের ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, আশিককে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অপর দিকে এই মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার অপর তিনজনকে দু’দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মামলায় গ্রেফতার হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজুদ্দিন ছোটনের চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেফতার হয়ে দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম সাহাবুদ্দীন (২৫), কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান (২১) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮)। তারা ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী ছিলেন বলে জানান পুলিশ।
এখনো এই মামলার এজহার নামীয় মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে মেহেদী হাসান বাবুকে ধরতে চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায় প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ইয়াবা, অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইসরাফিল হুদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই বার দলবেধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এক নারী। অভিযোগ পেয়ে রাতে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫।
এ ঘটনার পরের দিন জড়িতদের শনাক্ত করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩ জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর স্বামী। ওইদিন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক এজাহার নামীয় আসামি রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করা হয়। ওই মামলা ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এসজেড/
Leave a reply