এয়ারপোর্ট রোডে ডিভাইডারের উচ্চতা চার ফুটের বেশি। আর সেটি টপকেই বিপরীত দিক থেকে আসা এক মাইক্রোবাসকে চাপা দেয় এনা পরিবহনের বাসটি। এই ধাক্কায় মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। যদিও ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান মাইক্রোবাসের যাত্রী ও চালক।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এই ঘটনার পর থেকে দিনভর নানা ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তাকে। সন্ধ্যায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শাহাদাত হোসেন নামের ওই চালক যমুনা টেলিভিশনকে জানিয়েছেন আকস্মিক ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার বর্ণনা।
তিনি বলেন, তখন রাস্তায় কিছুটা জ্যাম ছিল। তাই আমি ধীরে ধীরেই গাড়ি চালাচ্ছিলাম। সেটা প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা হবে বড়জোর। এনা পরিবহনের সেই বাস উত্তরার দিকে যাচ্ছিল। এরইমধ্যে রোড ডিভাইডার ভেঙে আমার গাড়ির উপর বাসটি এসে যেন উড়ে এসে পড়ে। তখন ৯টা ২০ এর মতো বাজে। আমার মাথা ঘুরে উঠলো। কিছুক্ষণ পর মাথা তুললাম। দেখি, সেই বাসের চালক আর নেই। তাছাড়া বাসে আর কাউকেই পাইনি আমরা।
তিনি আরও জানান, পরে এনা পরিবহণের ম্যানেজার এসেছিলেন। গাড়ির মালিক কে, জানতে চান। আমি বলেছি মালিকের সাথে কথা বলতে। মামলা বা মীমাংসার ব্যাপার তিনিই দেখবেন। এটা মারা যাওয়ার মতোই ঘটনা। বাঁচানোর মালিক আল্লাহ, উনিই বাঁচিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত এনা বাসের চালক মিজানুর রহমান রিপনকে টাঙ্গাইল থেকে আটক করেছে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন ।
Leave a reply