আখাউড়া প্রতিনিধি :
সদ্য সমাপ্ত হওয়া চতুর্থধাপে ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেও ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন একেএম নিয়াজী নামের এক ব্যক্তি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসনের নির্দেশনা না মেনে রঙিন ব্যানারে করা তোরণ সড়কে বহাল রাখেন নিয়াজী। যদিও আখাউড়ায় ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ একাধিক মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ১৩২ মামলায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনাকে অমান্য করে তার রঙিন তোরণ বহাল রেখেই নির্বাচন শেষে করেন নিয়াজী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, একজন মেম্বার প্রার্থী নির্বাচনী বিধি অমান্য করে প্রশাসনের নির্দেশনাকে না মেনে কীভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে মেম্বার নির্বাচিত হলেন?
ভুক্তভোগী প্রার্থীদের অভিযোগ, আখাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস ঠুনকো অপরাধে প্রার্থীদেরকে জরিমানার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। দেয়ালে পোস্টার লাগানো, নির্বাচনী অফিস আলোকসজ্জা কিংবা পোস্টারে ভুলের খেসারত হিসেবে গুনতে হয়েছে নগদ জরিমানা ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অনাদায়ে নিশ্চিত কারাবরণ। কিন্তু উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী নিয়াজীর রঙিন ব্যানারে সড়কের তোরণে চোখ পড়েনি প্রশাসনের!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অনেক আগেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আখাউড়া-কসবা সড়কের উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন এলাকায় রঙিন পোস্টারে তোরণ নির্মাণ করে ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী একেএম নিয়াজী। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে প্রশাসন অপসারণ করার নির্দেশনা দেয়া হলেও আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেন নিয়াজী।
এ প্রসঙ্গে আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর বিট পুলিশের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে তোরণটি সরিয়ে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
এ অভিযোগের বিষয়ে একেএম নিয়াজী বলেন, সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সড়কে তোরণটি রাখা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুফিয়া সুলতানা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলেও নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখার দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিল।
Leave a reply